June 25, 2025, 8:14 pm
সর্বশেষ:
ডেমরায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির নেপথ্যে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও গ্যাং সংস্কৃতি মেঘনার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে সামাজিক বিপর্যয় ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ জরুরি মেঘনায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অনিয়ম রোধে প্রশাসনের ভূমিকা জোরালো করতে হবে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ জরুরি মেঘনা উপজেলায় মাদকের আগ্রাসন: ধ্বংসের পথে যুবসমাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা এনবিআর-বিডা কার্যালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ মেঘনায় আওয়ামী লীগ নেতা হলেন বিএনপির সভাপতি সময়মতো নির্বাচন হবে, একটু ধৈর্য ধরি: আমীর খসরু ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: দীর্ঘমেয়াদী হলে বাংলাদেশেও প্রভাব পড়তে পারে’

মেঘনায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অনিয়ম রোধে প্রশাসনের ভূমিকা জোরালো করতে হবে

 

বিপ্লব সিকদার :

মেঘনা উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা, যেখানে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে। বিশেষ করে, রাস্তা, সেতু, কালভার্ট, ড্রেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ মৌলিক সেবাখাতগুলোতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য হলো—গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, কৃষিপণ্য পরিবহন সহজীকরণ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করা।

কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অনেক উন্নয়নকাজে দেখা যাচ্ছে নিম্নমান, অস্থায়ী মেরামত, অপরিকল্পিত নকশা এবং কার্যত নজরদারিহীন বাস্তবায়ন। নির্মাণ শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার পিচ উঠে যাওয়া, ব্রিজের রেলিং ভেঙে পড়া কিংবা কালভার্টে পানি নিষ্কাশনের অকার্যকর ব্যবস্থা প্রকল্পের দায়সারা মনোভাব ও অনিয়মের প্রমাণ দেয়। এমনকি অনেক কাজ জনদৃষ্টির আড়ালে রাতের আঁধারে সম্পন্ন করা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ পর্যালোচনা করতে না পারে।

এসব অনিয়মের মূল কারণ হিসেবে উঠে আসে—দুর্বল তদারকি, ঠিকাদারদের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রকৌশল বিভাগের গাফিলতি এবং প্রশাসনের নীরবতা। ফলে জনগণের টাকায় করা উন্নয়ন প্রকল্প জনগণের কাজে না এসে বরং ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। প্রকল্পের পরিকল্পনা, অনুমোদন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের প্রতিটি ধাপে প্রশাসনের কার্যকর তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে নিয়মিত সাইট পরিদর্শন, মান যাচাই ও দায়বদ্ধতার চর্চা নিশ্চিত করতে হবে।

একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে, যাতে কাজের স্বচ্ছতা ও জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে যেকোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, কর্মকর্তা কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মেঘনার মানুষ উন্নয়ন চায়, তবে সেটা যেন হয় দীর্ঘস্থায়ী, টেকসই ও জনগণের প্রয়োজনভিত্তিক। প্রশাসন যদি তাদের দায়িত্ব পালনে আরও সচেষ্ট হয়, তাহলে মেঘনার গ্রামীণ অবকাঠামো হবে প্রকৃত অর্থে উন্নয়নের মডেল। এখন সময়, সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান গ্রহণের।

লেখক – ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, মাসিক বনফুল,বিন্দুবাংলা টিভি। 

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা