May 3, 2024, 8:56 pm
সর্বশেষ:
মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন মেঘনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা তৈরি করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটা মামলা তৈরি করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেছেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে তাকে আগে আদালতে আত্নসমর্পন করে জেলে যেতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর এই কথাটি সঠিক নয়। কারণ যে আদেশে সরকার বেগম খালেদা জিয়ার সাজা মাফ না করে স্থগিত করেছেন। সেখানে দুইটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। তার একটি শর্ত হলো বিদেশে যাওয়া যাবে না। এই শর্তটি তুলে দিলেই খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে আবার দেশে আসতে পারবেন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভয়েস অব আমেরিকাকে এসব কথা বলেন তিনি।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটা মামলা তৈরি করেছেন। এই মামলায় দিয়েছেন ফরমায়েশী সাজা। পাঁচ বছরের সাজাকে দশ বছর করা হয়েছে। এখন তিনি অসুস্থ, এতো অসুস্থ যে পরিবার থেকে বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকার যদি তাকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে তাকে আবার কারাগারে নেয়ার কথা বলে, তাহলে এটা পরিষ্কার যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

 

বিএনপি নেতাদের মামলা প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছর আগে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলকে রাজনীতি থেকে সরানোর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তার মধ্যে রয়েছে মিথ্যা মামলা দেয়া, গায়েবী মামলা দেয়া এবং মামলাগুলোতে প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছু নাম দিয়ে দেয়া। সে সঙ্গে অজ্ঞাতনামা জুড়ে দেয়া। এইভাবে তারা একটা সুযোগ নিয়ে ১৪০০/১৫০০ লোককে একসাথে একটি মামলায় আসামী করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলার সংখ্যা দাড়িয়েছে দেড় লাখের ওপরে। এসব মামলায় অভিযুক্ত আসামীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ।

বাংলাদেশে গুম প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্যের দৃষ্টি আর্কষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে গুম হয়েছে, গুম হওয়ার প্রমাণ আছে এবং সরকারও অনেক ক্ষেত্রে বলতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে গুম করে ভারতে জেলে দেয়া হয়েছে। আমাদের ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে, এটা কি প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করতে পারবেন, যে ইলিয়াস আলী গুম হয়নি।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে জাতিসংঘ কেন তদন্ত করছে না প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা নিজেরা তদন্ত করেছি, তদন্ত করেই বলেছি। উনারা কেন তদন্ত করছেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা