• বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
এভারকেয়ারে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, বিভ্রান্তি এড়াতে আহ্বান মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের মেধাবী সাইমন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগদান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতাই মেঘনাবাসীর জীবনযাপনে বিপর্যয় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের মেডিকেল টিম এভারকেয়ারে যোগ দিল হোমনায় এসিল্যান্ডের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু মেঘনায় মেম্বারের খোয়ার থেকে ৫ গরু চুরি! তেজগাঁও কলেজ সাংবাদিক সমিতির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হলেন রাজু আহমেদ কাঠালিয়া নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান পাড়ারবন্ধ এলাকা থেকে দুই চাঁদাবাজ আটক গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে শোষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষকরা আবার বিক্ষোভে: বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

চার সাংবাদিক হত্যার বিচার চেয়ে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৫৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মেহেদীসহ চার সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সাধারণ সাংবাদিক সমাজ’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন এর চেয়ারম্যান মো. মোরশেদ আলম।

বক্তারা বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে সাংবাদিক হতাহত, গণমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর, আগুনে জ্বালিয়ে দেয়াসহ নজিরবিহীন যে বর্বরতা চালানো হয়েছে তার কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সরকারি বাহিনী এবং আন্দোলনকারী উভয়েই সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে জঘণ্যভাবে হামলে পড়েছে। কোথাও লড়াইয়ের ফাঁদে ফেলে, কোথাও ঠান্ডা মাথায় গুলি চালিয়ে চারজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক সংবাদকর্মীকে। এদের মধ্যে অনেকেই চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। আহত অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের অবস্থা গুরুতর।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব ও ডিইউজের সাবেক র্নিবাহী সদস্য এএইচ আল আমিন।

এসময় বক্তারা তাদের দাবি উত্থাপন করে বলেন, চার সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আমরা অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই হত্যার শিকার সাংবাদিক পরিবারের কোনো সদস্যকে সরকারি চাকরি প্রদানসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। পাশাপাশি আহতদের সমুদয় চিকিৎসা ব্যয়বহনসহ জরুরি আর্থিক সহায়তা প্রদানের দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।

তারা বলেন, দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের জীবন কেড়ে নেয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের পাশে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে দাঁড়ানোর নজির দেখতে পেয়েছি। এগিয়ে আসতে দেখেছি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকেও। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম থাকা সাংবাদিকদের হত্যার ঘটনায় পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের জীবন যাপনের স্থায়ী ভিত্তি গড়ে দেওয়া খুবই জরুরি। ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদির দুটি অবুঝ সন্তান রয়েছে। নয়া দিগন্তের নিহত তুরাবের নববিবাহিত স্ত্রীর হাতের মেহেদি শুকায়নি। তাদের কাছে রাষ্ট্রের জবাব কী?

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধু কোটা-সংস্কার আন্দোলন নয়, কোনো আন্দোলনেই একজন সংবাদকর্মী কখনো কারো প্রতিপক্ষ থাকে না। একজন সাংবাদিক না আন্দোলনকারীদের, না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। চলমান ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ করতেই কেবল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। অথচ কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারাদেশে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় গুলিতে প্রাণ হারান ঢাকা টাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মেহেদী। ১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান এ টি এম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তুরাবের দেহে আটানব্বইটি গুলি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৮ জুলাই দৈনিক ভোরের আওয়াজের গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ, হামলার শিকার ও সংঘাতের মাঝে পড়ে দুই শতাধিক সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন