May 21, 2024, 8:24 am
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

স্বপ্নে আদেশ পেয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করলেন ৬৩ বছর বয়সী ‘পীর’

২০ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ফেনী প্রতিনিধি:

স্বপ্নযোগে বিয়ের নির্দেশনা পেয়ে স্নাতকপড়ুয়া ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন ৬৩ বছর বয়সী জামশেদ আলম ওরফে ‘ফুল হুজুর’ নামের ফেনীর সোনাগাজীর কথিত এক ‘পীর’।

উভয় পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ঢাকার আদালত এলাকায় ফুল হুজুর তরিকার প্রধান দরবারে বড় আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। বিয়ের পর নবদম্পতি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

ওই ছাত্রীর বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়। ফুল হুজুর বিশ্ব সুন্নি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হায়াতের অনুসারী।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ তিন যুগেরও অধিক সময় ধরে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে জামশেদ আলম ফতেহপুরী ওরফে ফুল হুজুর তার বাড়ির দরজায় একটি দরবার শরীফ খুলে বিভিন্ন ঝাড়ফুঁকের তদ্বির করে আসছেন। এ সুবাদে স্থানীয় নারী-পুরুষসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষের সঙ্গে তার পীর-মুরিদ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পাঁচ ভাই চার বোনের মধ্যে শুধু ফুল হুজুর ও তার দুই বোন জীবিত রয়েছেন। তার দরবারের পাশাপাশি ২০০৪ সাল থেকে তার নামের ওপর একটি নূরানি মাদ্রাসাও পরিচালনা করে আসছেন। প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি বড় আয়োজনে বার্ষিক ওরসও পালন করা হয় তার দরবার শরীফে। বার্ষিক ওরসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার ভক্ত-আশেকানদের আগমন ঘটে।

তার অর্থায়নে পরিচালিত নূরানি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে ফুল হুজুরের সম্পর্কের কারণে সে হুজুরকে বিয়ে করতে অনুপ্রাণিত হয়। এছাড়া হুজুরের ভক্ত-আশেকানদেরও বিয়ের জন্য চাপ ছিল। হুজুর স্বপ্নের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার নির্দেশনা পেয়েছেন। তার বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার জন্যও বিয়ে করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি জানান, ওই ছাত্রী ফেনী জিয়া মহিলা কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত রয়েছে। হুজুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি স্বেচ্ছায় পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

ছাত্রীর নানা নুর করিম জানান, তার নাতনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ফুল হুজুরের মুরিদ। হুজুরের সঙ্গে নাতনির বিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি। এতে রাষ্ট্রীয় অথবা ধর্মীয় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

তবে বিয়ের ব্যাপারে ও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিয়ে না করা প্রসঙ্গে জানার জন্য একাধিকবার ফুল হুজুরের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার দরবারে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা