May 19, 2024, 9:51 pm
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

যে কারণে পুকুরের পানি নিষ্কাশন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের মির্জানগর গ্রামে সরকারি পুকুর (দীঘি)। গ্রামের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দারা শুকনো মৌসুমে গৃহস্থালি সহ গোসলের পানির চাহিদা মেটানো সহ ইতিহাস ঐতিহ্য বহনকরে। এক সময় পুকুর টি ছিল জলাশয়। বিলের সাথে সংযুগ থাকায় বর্ষা মৌসুমে জোয়ার ভাটার পানির সাথে আসতো মাছ। গত ৫ বছর পূর্বে সরকারি অর্থায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন করে পাড় বাধা সহ ঘাটলা করা হয়। ফলে বদ্ধ পুকুরে বর্ষার পানি আশা বন্ধ হয়ে যায়। পুকুরে পাশের বাসিন্দারা পুকুর টি ভোগদখল করতেন। ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায় বদ্ধ পুকুরে দুই ব্যক্তির অংশ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মৃদু দ্বন্দ্বও রয়েছে। ফলে প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যদের অবগত না করে অবকাঠামো উন্নয়ন করার মৌখিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গত সোমবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সেচ মেশিন লাগালে এলাকার বাসিন্দারা গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ করলে একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে আজ মঙ্গলবার উপজেলার উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং তাৎক্ষণিক মির্জানগর গ্রামের বাসিন্দাদের পুকুরটির অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মুন্সি তপন বলেন কাউকে না জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ না করে নিষ্কাশন শুরু করা ঠিক হয়নি তবে আমরা দাবি জানিয়েছি ঘাটলা সহ অবকাঠামো উন্নয়ন করার। সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাসনিম আক্তার বলেন যেহেতু সরকারি পুকুর কচুরিপানাবদ্ধ ও অব্যবস্থাপনার ফলে পানি ব্যবহার অনুপযোগী তাছাড়া দুই ব্যক্তির অংশ রয়েছে (যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে) উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শ নিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস বলেন পুকুরটি আজ সরেজমিনে দেখেছি, আমাদের কাছে তথ্য আছে কিছু লোক পুকুরটি ভোগদখল করতেন। ফলে আমরা পানি নিষ্কাশন করে অবকাঠামো উন্নয়ন করব এবং দখল মুক্ত করব।এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন বিষয় টি আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ঐ এলাকার বাসিন্দাদের কথা দিয়েছিলাম পুকুরের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন করব কয়েক বছর আগে বরাদ্দ দিয়ে পাড় বেধে দিয়েছিলাম এবার একমাস পূর্বে প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি কিছু বরাদ্দ দিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা