May 19, 2024, 11:30 pm
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ভুয়া দলিল সম্পাদনের অভিযোগে আটকৃতদের যেভাবে ছেড়েছে পুলিশ

 

বিপ্লব সিকদার।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ভুয়া দলিল সম্পাদনের অভিযোগে শেখের গাও এলাকার দলিল লিখক আল আমিন।, রামনগর ছোয়ানী এলাকার রুমন, জাহাঙ্গীর নামের ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার সন্ধায় মেঘনা থানা উপ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক সংগীয় ফোর্স নিয়ে তাদের আটক করে। এ বিষয়ে সম্প্রতি রামনগর ছোয়ানী এলাকার ভুক্তভোগী সোহেল বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় দলিল লিখক আল আমিন বাদীর কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি ভুয়া দলিল সম্পাদন করেন, অন্যদিকে সম্পাদন কৃত দলিল মেঘনা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বাতিল করা হয়েছে। ভুয়া দলিল সম্পাদনের খবর রোববার একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। একাধিক সূত্র জানায় আটকৃতরা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দেয়। পুলিশ আটক করে নিয়ে আসার পর রাতে শুরু হয় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের তদবির। অভিযোগকারী সোহেল বলেন রাত আড়াইটার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক, দলিল লিখক ভাগিনা সেলিম, সহ আরও অনেকে ছিল ওরা সবাই ওসি সাহেবকে বলছে আমাদের জমি নিয়ে ঝামেলা করবেনা তাছাড়া অনেক কথা আছে, পড়ে বলবো আমি বাধ্য হয়ে অভিযোগ তুলে নেই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি ব্যক্তিগত কাজে থানায় যাই আমাকে দেখে উভয় পক্ষ এসে বলছে মিলে গেছে তাই আমি বলছি বাদী বিবাদী মিলে গেলে আর কি থাকে। উপ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন উভয় পক্ষ মিলে গেছে আর সাংবাদিক ম্যানেজ করার বিষয় টি ভাগিনা সেলিম আহমেদ নিয়েছে। ভাগিনা সেলিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দায়িত্ব নিয়েছি, পরে যোগাযোগ করতেছি তোমাদের সাথে। এদিকে এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন ওরা নিজেরা নিজেরা মিমাংসা হয়ে গেছে তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের নিকট কোন অভিযোগ থানায় মিমাংসার আইনের ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয় টি পুলিশের তাদের আইনে কি আছে সেটা বলতে পারছিনা। থানায় অভিযোগ মিমাংসার ব্যপারে আইনের ভিত্তি সম্পর্কে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান (বিপিএম বার) এই প্রতিবেদককে বলেন যদি উভয় পক্ষ রাজি থাকে মিমাংসা করা যায় আর যদি সিরিয়াসনেস কিছু হয় সেটা মামলা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা