May 20, 2024, 2:53 am
সর্বশেষ:
উপকর কমিশনারসহ তিন জনের নামে দুদকের মামলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৭ চিকিৎসক বদলি ও দায়িত্বশীলতা অতিরিক্ত ডিআইজি শিমুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক দুই পাসপোর্ট অফিসে দুদকের দুটি পৃথক অভিযান মেঘনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

‘উচ্ছৃঙ্খল’ জীবন-যাপন করতেন মেহজাবিন: মা-বাবা ও বোনকে হত্যা

১৯ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় বড় মেয়ে মেহজাবিনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে সকালে মুরাদপুর এলাকার ২৮, লালমিয়া সরকার রোডের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও বোন জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাবা-মা-বোনকে হত্যার পেছনে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা। জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কদমতলীর বাগানবাড়ির বাসায় মৌসুমি ফল নিয়ে আসেন জামাতা শফিকুল ইসলাম অরণ্য। এ সময় মেহজাবিন ফল ও চা দেয় পরিবারের সদস্যদের। অরণ্য না খেতে চাইলেও তাকে জোর করা হয়। অরণ্য খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অন্যদিকে বাবা মাসুদ রানা, মা জোসনা বেগম ও বোন জান্নাতের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্য জানান, মেহজাবিন বেশ কয়েক মাস ধরে উশৃঙ্খল জীবন-যাপন করতো। কাজ থেকে বাসায় ফিরে তাকে পাওয়া যেতো না। তালা মারা থাকত বাসা। কারণ জিজ্ঞেস করলে, উশৃঙ্খল আচরণ করতো। গতকালও ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে আসে। এরপর রাত ১১টার দিকে আমাদেরকে কফি খেতে দিয়েছিলো।

তার ধারণা, ওই কফিতে ঘুমের ওষুধ মেশানো থাকতে পারে। যে কারণে তা খাওয়ার পর পরবর্তীতে কী হয়েছে, কিছুই তিনি জানেন না।

তবে পুলিশের ধারণা, ঘুমের ওষুধ মেশানো তরল পানীয় খাওয়ানোর পরই শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। আটক মেহজাবিনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে এই হত্যার পেছনে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলকে দায়ী করছেন নিহতদের পরিবারের স্বজনরা। নিহত মৌসুমী ইসলামের বড় বোন জাহানারা বলেন, মেহজাবিনের ছোট বোন মোহিনীর সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। এ জন্য তাদের পরিবারে ঝগড়া হতো। তবে গতকাল কী ঘটেছিলো, তা আমি জানি না। তবে আমাদের ধারণা, পরকীয়া সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য শফিকুলকেই দায়ী করেন ওই পরিবারের স্বজনরা।

পুলিশ জানিয়েছে, মেহজাবিন তার বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করার পর আজ সকাল ৮টায় ৯৯৯-এ কল করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনার দ্রুত না আসলে আমার স্বামী ও মেয়েকে খুন করে ফেলবো।’ পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। আর মেহজাবিনের স্বামী ও সন্তানকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকে পাঠায়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা